Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বিভাগের ঐতিহ্য

রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ, নওগাঁ জেলার বৌদ্ধবিহার ও কুসুম্বা মসজিদ, রাজশাহীর পুঠিয়ার জমিদারবাড়ী, নাটোরের উত্তরা গণভবন ও জমিদারবাড়ী, বগুড়ার মহাস্থানগড় বিভিন্ন ঐতিহ্য বহন করে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত রাজশাহী এক ইতিহাসখ্যাত নগরী। প্রাচীন পুন্ড্রবর্ধন জনপদের অংশ রাজশাহীর জনবসতি হাজার বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন, মোগল, ইংরেজরা এ অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এ অঞ্চলে রাজারাজড়াদের অবাসস্থলকে কেন্দ্র করে নাম হয়েছে রাজশাহী। পঞ্চদশ শতকে ভাতুরিয়া দিনাজপুরের জমিদার রাজা কংস বা গনেশ এ অঞ্চলের অধিপতি ছিলেন। তিনি রাজা শাহ নামে পরিচিতি ছিলেন। মনে করা হয় ‘রাজা’ আর ‘শাহ’ মিলে রাজশাহী নামকরণ হয়েছে।

 

 

এ শহরের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে একদা প্রমত্তা পদ্মার প্রাণলীলা। শহরের দক্ষিণে পদ্মার বিশালতা হাতছানি দেয়। শহরের পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর আম্রকানন দিয়ে পরিবেষ্টিত। এখানকার জনগোষ্ঠীর প্রধান পেশা কৃষি। রাজশাহী রেশম সুতা ও রেশমবস্ত্র তৈরির জন্য বিখ্যাত। ১৯৭৭ সালে রাজশাহীতে রেশম বোর্ড স্থাপিত হয়। অন্যান্য কুটিরশিল্পের মধ্যে তাঁত, বাঁশ ও বেত, স্বর্ণকার, কামার, কুমার, কাঠের কাজ, কাঁসা, সেলাই, বিড়ি উল্লেখযোগ্য।

 

রাজশাহী শিক্ষানগরী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এখানে দেশের প্রায় সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমন- বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ক্যাডেট কলেজ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, শারীরিক শিক্ষা কলেজ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, সার্ভে ইন্সটিটিউট, পিটিআই, নার্সিং ইন্সটিটিউট, ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, পুলিশ একাডেমী, পোস্টাল একাডেমী, রেশম গবেষণা কেন্দ্র, আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হোমিওপ্যাথি কলেজ, ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি। জেলায় ৩৬৭টি মাদ্রাসা, ১১০টি কলেজ, ৩৯৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৯৮৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। দেশের একমাত্র পুলিশ একাডেমী ও পোস্টাল একাডেমী এ জেলাতে অবস্থিত।

 

রাজশাহীর ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্যতম ধারক রাজশাহী বোয়ালিয়া ক্লাব। ১৮৮৪ সালে স্থাপিত, পদ্মাবিধৌত ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি শুধু অভিজাত শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত ও সীমাবদ্ধ ছিল। ইংরেজ শাসক ও বিদেশী বেনিয়া শ্রেণীর আনন্দ বিনোদনের কেন্দ্র ছিল এই ক্লাব। সোয়া একশ বছর বয়সী এই সংগঠনটি কালের বিবর্তনে বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। কালের উত্থান-পতন, নিষ্ঠুরতা-কলঙ্ক সবকিছুর স্মৃতি বিজড়িত এই ক্লাব।

 

মা দুর্গার পৃথিবীতে প্রথম আবির্ভাব স্থল রাজশাহীর তাহেরপুর। মা দুর্গার জন্ম স্বর্গে। ত্রেতাযুগে রাবণের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দশরথ পুত্র মহামতি রাম মা দুর্গার অকালবোধন পূজা করেন। মা দুর্গা তাঁর পূজায় সন্তুষ্ট হয়ে রাবণ বধের বর প্রদান করেন। মা দুর্গার বর পেয়ে রাম লঙ্কারাজ রাবণকে বধ করতে সক্ষম হন। ৮৮৭ বঙ্গাব্দে (১৪৮০ খ্রিস্টাব্দে) কংস নারায়ণের আহবানে মা দুর্গা সাধারণ্যে আবির্ভূত হন। এই সাহনে শরৎকালে আশ্বিন মাসের মহা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধন হয়। ঐ পূজায় পৌরহিত্য করেছিলেন রাজপন্ডিত রমেশ শাস্ত্রী। মা দুর্গার প্রথম পদধূলিতে ধন্য এই পুণ্যভূমি। এই পুণ্যভূমি থেকেই শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা।

 

রাজশাহী বিভাগের জেলা ভিত্তিক ঐতিহ্য দেখতে নীচের লিংকে ক্লিক করুনঃ

 

রাজশাহী জেলার ঐতিহ্য।

 

সিরাজগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য।

 

পাবনা জেলার ঐতিহ্য।

 

বগুড়া জেলার ঐতিহ্য।

 

নাটোর জেলার ঐতিহ্য।

 

জয়পুরহাট জেলার ঐতিহ্য।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহ্য।

 

নওগাঁ জেলার ঐতিহ্য।